ইমাম খাইর, সিবিএন
চাষিদের ১ কেজি লবণ উৎপাদনে খরচ পড়ে প্রায় সাড়ে ৬ টাকা। অথচ সেই লবণের বাজার মূল্য ৪ টাকা। আবার একই লবণ সিন্ডিকেটের হাত বদলে ‘প্যাকেটজাত আয়োডিনযুক্ত’ ব্রান্ড লাগিয়ে ঘুরেফিরে বাজারে বিক্রি করা হয় কেজি প্রতি ৪০ টাকা। কেন এত তফাৎ?
বড় মিল নামধারী কিছু লবণ মিল মালিক সিন্ডিকেট করে নানা অজুহাতে সরকারকে ভুল তথ্য দিয়ে কেজিপ্রতি প্রায় ৪০টাকায় বিক্রয় করছে। অথচ মাঠ পর্যায়ে ১ কেজি লবণের দাম ৪ টাকার মতো। সিন্ডিকেটের পকেটে ঠিকই লাভ ঢুকলেও বঞ্চিত চাষিরা। উৎপাদন খরচের অর্ধেকও দাম পাচ্ছে না তারা। আর দালাল-ফঁড়িয়াদের কারণে যা দাম আছে তাও পাচ্ছে না চাষিরা। সবমিলিয়ে বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্ত মাঠপর্যায়ের চাষিরা।
সাধারণ মানুষের প্রশ্ন- দেশীয় লবণশিল্পকে ধ্বংস করে কার স্বার্থে আমদানি? একটি চিহ্নিত গোষ্ঠীকে নাকি একটি শিল্পকে বাঁচানো গুরুত্বপূর্ণ?
এ বিষয়ে কথা হয় কক্সবাজার লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি রইচ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি ক্ষোভ ও হতাশা নিয়ে দেশীয় লবণশিল্পের চিত্র তুলে ধরেন। অনেক অন্যায়, দুর্নীতি ও অসঙ্গতির কথাও জানান। সেইসঙ্গে স্থানীয় লবণচাষি ও ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে কিছু প্রস্তাবনাও পেশ করেন।
রইচ উদ্দিনের মতে, জনস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর সোডিয়াম সালফেট আমদানি নিষিদ্ধ করতে হবে। যদি নেহাতই অন্য শিল্পের জন্য প্রয়োজন হয়, তাহলে তার উপর ২০০% করারোপ করা দরকার। সোডিয়াম সালফেটের নামে সোডিয়াম ক্লোরাইড আমদানি যেন না হয়।
কক্সবাজার কেন্দ্রীক ‘লবণ বোর্ড’ গঠন দীর্ঘদিনের দাবী লবণশিল্প সংশ্লিষ্টদের।
লবণমিল মালিকদের দাবী, সরাসরি মাঠ থেকে ন্যায্যমূল্যে অন্তত ২ লাখ মেট্রিকটন লবণ ক্রয় করে সরকারীভাবে আপদকালীন মজুদ গড়ে তুলতে হবে।
চাষিদের বাঁচাতে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের একটি নিয়মে আনা দরকার। মন্ত্রণালয় বা অন্য কোন সরকারী সংস্থার আওতায় নিবন্ধিত করতঃ তাদের কমিশন নির্দিষ্ট করে দেয়া যেতে পারে।
উৎপাদন মৌসুমের শুরুতে লবণ চাষীদেরকে সরকারীভাবে পলিথিন সরবরাহের দাবী লবণশিল্প সংশ্লিষ্টদের।
তাদের দাবী, লবণ মৌসুম চলাকালীন বিশেষ উৎসাহ-সহায়তা হিসেবে চাউল বরাদ্দ করতে হবে, যাতে করে তারা অভাবের তাড়নায় মধ্যসত্বভোগী বা মহাজনের কবলে না পড়ে।
বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রয়োজনে প্রচুর জমি অধিগ্রহণ করায় লবণ চাষের মূল জমির পরিমাণ কমে এসেছে। বেকার হয়ে গেছে চাষিরা। বিভিন্ন উপকূল সংলগ্ন নতুন করে জেগে ওঠা চরের জমি সত্যিকার লবণ মিলার ও লবণ চাষীদেরকে সহজ শর্তে বন্দোবস্তীর ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে করে উক্ত জমিগুলো লবণ চাষের উপযোগী করে লবণ চাষের আওতা বৃদ্ধি করা যায়।
এ প্রসঙ্গে বিসিক কক্সবাজারের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, লবণশিল্প বাঁচাতে ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে অনেক পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। সদরের চৌফলদন্ডিতে পাইলট প্রকল্প চলছে। ভূমিমূল্য কমানোর পদ্ধতির কথাও ভাবা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রান্তিক চাষিদের প্রণোদনামূলক ক্ষুদ্র দিতে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে।
সম্প্রতি কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডি গ্রামের কৃষক আবদুল করিমের সঙ্গে কথা হয়। তখন তিনি লবণ মাঠে কাজ করছিলেন। স্তূপীকৃত সাদা লবণ তাকে স্বপ্ন দেখায়। কিন্তু লবণ বিক্রির কথা যখন চিন্তা করেন তখন এই আনন্দ ম্লান হতে শুরু করে। আবদুল করিমের ১ দশমিক ৬ একর জমিতে খরচ হবে প্রায় ১ দশমিক ৬ লাখ টাকা। মৌসুম শেষে পাবেন প্রায় ৮০০ মণ লবণ। বর্তমানে লবণের যে দর, তা অব্যাহত থাকলে মৌসুমের শেষে তার মোট লোকসান দাঁড়াবে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। পরিবারের মুখে ভালো খাবার তুলে দেওয়া কষ্টসাধ্য হবে আবদুল করিমের।
তিনি বলেন, ‘গত মৌসুমে এক মণ লবণ ২০০ টাকায় বিক্রি করেও তাদের লোকসান হয়েছে। এবারের পরিস্থিতি আরও খারাপ। কারণ প্রতি মণ লবণের দাম ১৫০ টাকায় নেমেছে।’
করিমের মতো কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের প্রায় ৩০ হাজার লবণ চাষি তাদের উৎপাদনের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে।
লবণ চাষি ও সরকারি কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন যে, অসাধু ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের একটি সিন্ডিকেট লবণের দাম নিয়ে কারসাজি করছে।
তারা বলেছেন, ভোজ্য লবণের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার পরেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চীন ও ভারতের মতো দেশগুলো থেকে শিল্প লবণ হিসেবে পরিচিত সোডিয়াম সালফেটের নামে প্রচুর পরিমাণে ভোজ্য লবণ আমদানি করছে।
সোডিয়াম ক্লোরাইড ভোজ্য লবণের রাসায়নিক নাম এবং সোডিয়াম সালফেট প্রধানত ডিটারজেন্ট, শিল্প রঞ্জক এবং কাগজের মণ্ড তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিএসসিআইসি) সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘মিল মালিকদের কাছে দুবছর আগের আমদানিকৃত বিপুল পরিমাণ ভোজ্য লবণের মজুদ রয়েছে।’
‘তাদের অনেকে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে লবণ কিনছেন না, ফলে চাষিদের উৎপাদিত লবণের মূল্য কমে যাচ্ছে’, বলেন তিনি।
কক্সবাজার লবণ চাষি সমিতির সভাপতি মো. হান্নান মিয়া বলেছেন, ‘মিল মালিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে লবণের দাম নিয়ে কারসাজি করছেন।’
বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি কবির আহমেদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মূল্য হ্রাসের জন্য ভোজ্য লবণের আমদানি দায়ী।’
তিনি বলেন, ‘এই আমদানি কারসাজির ফলে অনেক মিল মালিকও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।’
তিনি লবণ আমদানির ক্ষেত্রে সরকারের নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে অনুসরণ করার দাবি জানিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিভিন্ন ধরনের লবণের আমদানি হয়েছিল প্রায় ২২ লাখ ৮৩ হাজার মেট্রিক টন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ছিল ১৮ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২২ লাখ ৫২ হাজার মেট্রিক টন এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সাত লাখ ৫৮ হাজার মেট্রিক টন।
বিএসসিআইসি বলছে, শিল্প খাতে ব্যবহারের জন্য দেশে প্রতি বছর লবণের চাহিদা প্রায় নয় লাখ পাঁচ হাজার মেট্রিক টন।
কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলাতে ৬০ হাজার ৭৯৬ একর জমিতে লবণ উৎপাদিত হয় এবং যেখানে কয়েক হাজার মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে লবণ বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল।
দেশে মধ্য নভেম্বর থেকে মধ্য মে পর্যন্ত ছয় মাস লবণ উৎপাদিত হয়।
কক্সবাজার বিসিকের লবণ উন্নয়ন অফিসের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শামীম আলম জানান, গত মৌসুমে ১৬ দশমিক ৫৭ লাখ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে লবণের উৎপাদন ছিল ১৮ দশমিক ২৪ লাখ মেট্রিক টন।
‘এ মৌসুমে ইতোমধ্যে প্রায় ৪ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে এবং এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১৮ দশমিক ৪৯ লাখ মেট্রিক টন’, বলেন তিনি।
বিসিকের মতে, সারাদেশে ২১৩টি লবণের শিল্প রয়েছে।
বিসিক কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘দেশে লবণের উৎপাদন ব্যয় বেশি। কারণ কৃষকরা জমির ইজারা দেওয়ার জন্য প্রায় ৬০ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেন।’
তবে প্রতিবেশী দেশ ভারতে বিষয়গুলো ভিন্ন। গুজরাট ও চেন্নাইয়ের চাষিরা লবণ উৎপাদনের জন্য সরকারি জমি ব্যবহার করে বলেও জানান তিনি।
‘আমাদের মৌসুমের দৈর্ঘ্য ছয় মাস হলেও তাদের আট মাস। তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা সেখানে আমাদের চেয়ে আরও বেশি অনুকূল’, বলেন শামীম।
বিসিকের কর্মকর্তারা অবশ্য বিশ্বাস করেন শিগগির লবণের দাম বাড়বে।
বিসিকের সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক সারওয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে বড় মিল মালিকদের সঙ্গে বসেছি, যারা মার্চ মাসে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কক্সবাজারের কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি লবণ কিনবেন।’
‘বড় মিল মালিকরা কৃষকদের কাছ থেকে লবণ কেনা শুরু করলে দাম বাড়বে’, যোগ করেন তিনি।
লবণ চাষি, ব্যবসায়ী ও মিলারদের অপত্তিতেও থামছে না লবণ আমদানি। পর্যাপ্ত লবণ মজুদের মাঝেও ৮ জনের শক্তিশালী সিন্ডিকেট সর্বদা তৎপর। বন্ডেড ওয়্যার হাউজ এর আওতায় ব্যাক টু ব্যাক এলসি এবং ট্যাক্স ফাঁকির মাধ্যমে ক্যামিকেল আইটেমের আড়ালে সোডিয়াম সালফেটের নামে সোডিয়াম ক্লোরাইড (খাবার লবণ) আমদানী করছে। চাহিদার তুলনায় লবণের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়ে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। ফলে দেশীয় লবণ চাষীরা ন্যায্য মূল্য বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্থ। অন্যদিকে বিভিন্ন পন্থায় অবৈধভাবে লবণ আমদানী করায় সরকারও হারাচ্ছে রাজস্ব। শুধু একটি আমদানিচক্রের কারণে লবণ শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হচ্ছে। যে লবণ শিল্প সারা দেশের চাহিদা মেঠাচ্ছে, সে লবণ শিল্প হুমকির সম্মুুখিন। চাষের প্রতি আগ্রহ কমে গেছে চাষিদের। মিলারেরা হতাশ ও দিশেহারা।
কক্সবাজার জেলায় উৎপাদনযোগ্য লবণ জমির পরিমাণ ছিল ৬০ হাজার ৫৯৬ একর। চাষির সংখ্যা ২৯ হাজার ২৮৭ জন। জেলায় লবণমিলের সংখ্যা প্রায় ৮০টি।
লবণ মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দেশীয় লবণশিল্প বিরোধী একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। ৮ সিন্ডিকেটে রয়েছে -মোল্লা, এসিআই, ফ্রেশ, তীর, খ্রিস্টাল, পুবালী, কনফিডেন্স ও মধুমতি। এই বড় শিল্পগ্রুপগুলোর সাথে পেরে উঠছে না দেশী লবণশিল্প। ফ্রি ট্যাক্সে ‘ফিনিশ লবণ’ আমদানি করে তারা কম দামে বাজারে ছাড়ছে। যে কারণে মার খাচ্ছে স্থানীয় লবণ। এক সময় যারা জেলার একমাত্র লবণশিল্প নগরী ইসলামপুর থেকে লবণ ক্রয় করতো তারাও আজ বিমুখ। এখন আমদানি করছে বাইর থেকে। ইসলামপুরকেন্দ্রিক বৃহৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। ঢিমেতালে ছোটখাটো প্রতিষ্ঠানসমূহ।
সিন্ডিকেটের প্রতারণার ধরণ:
সোডিয়াম সালফেট আমদানী করে তা ভোজ্য লবণের সাথে মিশিয়ে বিক্রয় হচ্ছে, যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। লবণ শিল্পের জন্য সোডিয়াম সালফেট এর কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। অন্য শিল্পের নাম করে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সোডিয়াম সালফেট আমদানি করে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দেবার পাশপাশি, অতি মুনাফার লোভে ভোজ্য লবণ হিসেবে বিক্রয় করে জনস্বাস্থের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হচ্ছে।
লবণ চাষীদের নিকট হতে লবণ ক্রয় করে লবণ মিল ও ট্রলারের মালিকেরা যারা বিভিন্ন মোকামে এবং পাইকারী ও খুচরা বাজারে বিক্রয় করে। এখানে লবণচাষী এবং লবণ মিল ও ট্রলারের মালিকদের মাঝখানে কিছু ব্যক্তি মধ্যস্থতাকারী তথা মধ্যস্বত্বভোগী হিসেবে আবির্ভূত হয়, যারা চাষীদের নিকট হতে স্বল্পদামে লবণ ক্রয় করে লবণ মিল ও ট্রলারের মালিকদেরকে বিক্রয় করে এবং চাষীদেরকে মূল্য প্রদানের সময় তাদের মনগড়াভাবে মার্জিন/কমিশন কেটে নেয়। এসব মধ্যস্বত্বভোগীদের নিকট অনেকটা জিম্মি হয়ে থাকার কারণে, চাষীদের কিছুই করণীয় থাকেনা। দীর্ঘদিন ধরে নিরীহ লবণ চাষীরা এদের কারণেই লবণের ন্যায্য মূল্য হতে বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার হয়ে আসছে।
চাষীদের লবণের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ ও সংশ্লিষ্ট সকলের ব্যবসায়িক সুবিধার্থে লবণ ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ঠ মধ্যস্বত্ত্বভোগিদের মন্ত্রণালয় বা অন্যকোন সরকারী সংস্থার নিবন্ধনের আওতায় এনে তাদের কমিশন-নির্ধারণ করে দিয়ে প্রয়োজনীয় মনিটরিং এর ব্যবস্থা করা বাঞ্চনীয়। এতে করে চাষীদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের স্বার্থ -উভয়ই রক্ষা হবে।
২০১৭ সালে ‘বাফার স্টক’ গড়ে তোলার জন্য সরকার জাতীয় লবণনীতি-২০১৬ এর আলোকে পদক্ষেপ নেবার ঘোষণা দেয়।